শনিবার
০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে পিটিয়ে বৃদ্ধের হাত ভাঙলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০০ পিএম
আহত বৃদ্ধ জুলফিকার আলী মুন্সি বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
expand
আহত বৃদ্ধ জুলফিকার আলী মুন্সি বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মামলা তুলে নেওয়ার বিষয় নিয়ে সালিস বৈঠকের সময় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বৃদ্ধ জুলফিকার আলী মুন্সি (৬৭) বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী জুলফিকার আলী জানান, ২০২৪ সালে বাড়ির পুকুরে মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৬০)-কে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী বাদী হয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাবুল মৃধাসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

পরে স্থানীয়ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব আসে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শাহিন মাহামুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে বাবুল মৃধা, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলামসহ স্থানীয় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের একপর্যায়ে মামলার আসামি বাবুল মৃধা কোনো কারণ ছাড়াই ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠের গুড়ি (লাঠিসদৃশ বস্তু) দিয়ে জুলফিকার আলীর মাথায় আঘাত করেন। পরে আবার আঘাত করলে তার ডান হাত ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত জুলফিকারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে তার ডান হাত সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শাহিন মাহামুদ বলেন, “স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাবুল মৃধা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বৃদ্ধ জুলফিকারকে আঘাত করেছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।”

ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম বলেন, “বৃদ্ধের হাত ভাঙার বিষয়টি শুনেছি, তবে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না।”

অভিযোগ অস্বীকার করে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাবুল মৃধা বলেন, “আমি কাউকে মারিনি। সেখানে অনেক লোক ছিল। যারা আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে, তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।”

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, “আমি ছুটিতে ছিলাম, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন