বৃহস্পতিবার
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রত্যাবর্তনের পর ইতিহাস গড়েছেন যেসব বিশ্বনেতা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
বেনজির ভুট্টো, রুহুল্লাহ খোমেনি, ভ্লাদিমির লেনিন ও নেলসন ম্যান্ডেলা
expand
বেনজির ভুট্টো, রুহুল্লাহ খোমেনি, ভ্লাদিমির লেনিন ও নেলসন ম্যান্ডেলা

নির্বাসন বা দীর্ঘ কারাবাস অনেকের রাজনৈতিক পথচলার শেষ অধ্যায় হয়ে ওঠে। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কিছু নেতা আছেন যাঁরা কঠিন দমন–পীড়ন, নির্বাসন কিংবা কারাবরণের পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশের নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন। জনগণের আস্থা, আদর্শের প্রতি অটল বিশ্বাস ও দীর্ঘ সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তাদের এই সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়েছে। এমন চারজন প্রভাবশালী বিশ্বনেতার ফিরে আসার গল্প নিচে তুলে ধরা হলো।

বেনজির ভুট্টো (পাকিস্তান) পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হকের আমলে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়ে আশির দশকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বেনজির ভুট্টো। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালেও তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্ব ধরে রাখেন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যান। জিয়ার মৃত্যুর পর দেশে ফিরে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। পরে ১৯৯৩ সালেও তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

রুহুল্লাহ খোমেনি (ইরান) ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ১৯৬৪ সালে দেশত্যাগে বাধ্য হন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি। তুরস্ক, ইরাক ও ফ্রান্সে নির্বাসিত থাকলেও সেখান থেকেই তিনি ইরানে বিপ্লবী আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দেন। ১৯৭৯ সালে শাহ শাসনের পতনের পর দেশে ফিরে তিনি ইসলামী বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান নেন।

ভ্লাদিমির লেনিন (রাশিয়া) রাশিয়ার জার শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের কারণে লেনিন বারবার গ্রেপ্তার ও নির্বাসনের শিকার হন। সাইবেরিয়া ও ইউরোপে নির্বাসিত জীবনযাপনের সময় তিনি বলশেভিক আদর্শকে সুসংগঠিত করেন। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় ফিরে এসে অক্টোবরে বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং পরবর্তীতে সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

নেলসন ম্যান্ডেলা (দক্ষিণ আফ্রিকা) বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে ১৯৬৪ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২৭ বছর কারাবন্দি থাকার পর ১৯৯০ সালে তিনি মুক্তি পান। এরপর শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বর্ণবাদী শাসনের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে তিনি দেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X