

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সারাদেশে ১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিলেও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার মোট ৫৪৭ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠুভাবে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরজমিনে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের পরিক্ষা নিতে দেখা যায়।
সদর উপজেলার ৭৭ নম্বর রামারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সোহেব তানভীর বলেন, আমরা আমাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছি। মাত্র শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। তবে আমরা আমাদের দাবির পক্ষে আছি।
সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা নিয়েছি তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো খুব দ্রুতই মেনে নেয়।
৭৪ নম্বর কুতুব আইল মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম খাতুন বলেন, আমাদের সহকারী শিক্ষকরা তাদের দাবির পক্ষে থাকলেও ক্লাসের সময়ও কর্মবিরতির প্রভাব পরেনি। এবং আমরাদের শিক্ষকরা স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম বলেন, এবছর নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় ৫৪৭ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিক্ষা চলছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার বন্দর, সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জে সকাল সাড়ে ৯ টা বিভিন সময় পরিক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এবং আজ থেকে সদর ও আড়াইহাজার উপজেলায় পরিক্ষা শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত জেলার কোনো স্কুল থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। সবখানে স্বাভাবিক ভাবেই পরিক্ষা নিচ্ছে আমাদের শিক্ষরা।
এদিকে অবিভাবকরা বলছেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে কিছুটা প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের ওপরে। তাই সরকার এবং শিক্ষক উভয়পক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
মন্তব্য করুন
