

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত দেড়টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের চৈরারবাড়ি আল আমিনের বসত ঘরে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বন্দর থানায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুই জনের নামে মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন, বন্দর উপজেলার চৈরারবাড়ি এলাকার আবুল মিয়ার ছেলে বাস হেলপার রানা ও তার সহযোগী একই এলাকার আল আমিন।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ২১ নভেম্বর ভুক্তভোগী সোনারগাঁ খালার বাড়ি থেকে মায়ের বাসা ঢাকা কেরানীগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়। পরে ভুক্তভোগী মেয়ে মোগড়াপাড়া থেকে বাসে উঠলে বাসের হেলপার রানার সাথে পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কেরানীগঞ্জের উদ্দেশে গাড়ি পরিবর্তনে জন্য যাত্রাবাড়ি এলাকায় নামতে চাইলে ভুক্তভোগীকে বিবাদী রানা বাস থেকে নামতে বাধা দেয়। এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রাত ১১টায় বন্দর থানার চৈরারবাড়ি দুই নম্বর বিবাদী আল আমিনের বসত বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় রানা ভুক্তভোগী মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। ওই সময় কিশোরী কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় আল আমিন বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের পরে ধর্ষক ও তার সহয়তাকারী চলে গেলে ভুক্তভোগী কিশোরী পরবর্তীতে আজাহার মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপরে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক ও ধর্ষণের সহয়তাকারিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন