

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ময়মনসিংহের ভালুকায় ১৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। পরীক্ষার দিনে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েও পরীক্ষা দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হলেও শিক্ষকরা অফিস কক্ষে অবস্থান করছেন। পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে বাস্তবায়ন, ১০ বছর ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড প্রদান, শতভাগ পদোন্নতি করাসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষক কর্মবিরতি পালন করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে নেওয়া হচ্ছে না বার্ষিক পরিক্ষা।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। কোনো ধরনের নোটিশ বা পূর্বজ্ঞাপন ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারছি না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রাখা উচিত ছিল। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।
একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জানান, ১১ তম গ্রেড দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি, আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন না মানলে কর্মবিরতি চলবে।
অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, পরীক্ষা নিতে আমাদের কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু সহকারী শিক্ষকরা সহযোগিতা করেননি এবং বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মুঠোফোনে এনপিবি নিউজকে জানান, আজকে আমরা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। আশা করি আগামীকাল বার্ষিক পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করবে।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইকবাল হোসাইনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন
