

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আব্বাস আলী সড়কে অবস্থিত ‘নুপুর বেডিং’ সংক্রান্ত জমি প্রতারণার মাধ্যমে ছাপ-কবলা রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগে এক ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী ফয়েজেন নেছা খাতুন নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় তিনি দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে ফয়েজেন নেছা খাতুন বলেন, তিনি একজন অশিক্ষিত ও বয়োবৃদ্ধ মহিলা।
শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম এবং তাঁর নামে কোনো ব্যাংক হিসাবও নেই। গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ সালে তাঁর ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) জসিম উদ্দিন—যিনি রায়পুর উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা—তাকে চিকিৎসার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ৫১ লাখ ১০ হাজার টাকার মূল্য দেখিয়ে তাঁর মালিকানাধীন আব্বাস আলী সড়কের ‘নুপুর বেডিং’ সম্পত্তির ছাপ-কবলা রেজিস্ট্রি করে নেন।
তিনি জানান, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে পুত্রবধূ শিরিন আক্তারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি দলিলের নকল কপি সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তীতে আদালতে উপস্থিত হয়ে দলিল বাতিলের জন্য লক্ষ্মীপুরের মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান।
এছাড়া ওই দলিলের ভিত্তিতে যাতে কোনো জমা খারিজ খতিয়ান সৃষ্টি করা না যায়, সে জন্য তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), রায়পুর বরাবর আবেদন করেন। ভুক্তভোগী দাবি করেন, উক্ত সম্পত্তি এখনো তাঁর ও তাঁর পরিবারের ভোগদখলে রয়েছে এবং তাঁর পালক পুত্র ফরহাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নুপুর বেডিং পরিচালনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজেন নেছা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি জসিম উদ্দিন বাগানী তাঁর পালক পুত্র ফরহাদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন, ফলে ফরহাদ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি আরও জানান, গত ১৪ অক্টোবর ২০২৫ সালে তিনি জসিম উদ্দিনকে নিজ বাড়িতে ডেকে দলিলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে জসিম কোনো টাকা না দেওয়ার কথা আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়দের সামনে স্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আদালতে জমা দেওয়া লিখিত জবাবে জসিম উদ্দিন দাবি করেন যে তিনি টাকা প্রদান করেছেন—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ফয়েজেন নেছা আরও বলেন, তিনি কখনো সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যাননি। ডাক্তারের দোকানে তাঁর কাছ থেকে টিপসই নেওয়া হয়। দলিলের সাক্ষী ও শনাক্তকারীদের কাউকেই তিনি চেনেন না।
তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রবধূ শিরিন আক্তারকে মামলাটি পরিচালনার জন্য আম-মোক্তার প্রদান করেছেন এবং ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত জসিম বলেন, এই ধরনের ঘটনা মিথ্যা। উনার কাছ থেকে একটি সম্পতি কিনেছি। রায়পুরে সাবকাওয়া রেজিষ্ট্রি অনুপাতে রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল মুলে কিনেছি।
মন্তব্য করুন