

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ছেলের পরনের পুরোনো একটি শার্ট শক্ত করে ধরে কাঁদছেন শহীদ ফয়েজ আহমদের মা সবুরা বেগম। ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো থামেনি মা-বাবার কান্না।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ঝাউডগী গ্রামের স্যানিটারি মিস্ত্রী ফয়েজ আহমদ (৩১) ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মৃত্যুর আগে ২১ জুলাই সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। ফোনে জানান, প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। বলেন, মা, অনবরত গুলি হচ্ছে, পরে কথা বলব। এরপরই লাইন কেটে যায়। সেটিই ছিল তার শেষ কথা। পরদিন ফয়েজকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দীর্ঘ ১৬ মাস পর আদালতের নির্দেশে সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা এবং নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক কাজী আবুল বাশার। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
ফয়েজ তিন ভাইবোনের বড় ছিলেন। তার উপার্জনেই চলত পরিবার। মা সবুরা বেগম বলেন, ও বলছিল প্রচণ্ড গুলি হচ্ছে। তারপর হঠাৎ শব্দ হলো। আর কথা বলতে পারলাম না। এরপর কোনো খবরও পাইনি। কথা বলতে বলতে ভেঙে পড়েন তিনি।
বাবা আলাউদ্দিনের দাবি, আন্দোলনের সময় গুলি করে আমার ছেলেকে শেষ করে দিয়েছে। এর বিচার চাই।
স্ত্রী নুর নাহার দুই বছর তিন মাস বয়সী ছেলে রাফিকে নিয়ে এখন আত্মীয়ের বাসায়। তিনি বলেন,স্বামী ছিল আমার সব। তাকে কেন গুলি করে মারল? দোষীদের শাস্তি চাই।
পরিবারের দাবি-সত্যটা জানা হোক। কার গুলিতে, কীভাবে ফয়েজের মৃত্যু হলো, বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি দোষীদেরদৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও তুলেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিগার সুলতানা বলেন, মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন