মনোনয়ন বঞ্চনায় কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুই নেতার বিক্ষোভ

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেয় আলমের দুই গালেজুতা মারো তালে তালে, অবৈধ মনোনয়ন মানি না মানবো না ইত্যাদি।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে জেলা শহরের কালিবাড়ী মোড় থেকে বিএনপির একাংশের উদ্যোগে সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু ও সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এবং সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের নেতৃত্বে মিছিলটি শুরু হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোডে রেজাউল করিম খান চুন্নুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

এর আগের দিন সন্ধ্যায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এক বক্তব্যে বলেন, ভৈরবে বালুমহলের সাথে আমাদের সভাপতিও নাকি ৪০% শেয়ার হয়েছে।

রক্ত তো আর অস্বীকার করা যায় না, বাপ যেহেতু রাস্তার পাশে বইসা সাবান বিক্রি করছে। সাবান বিক্রি কইরা অনেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হইতে পারে তাতে আমার দুঃখ নাই। কিন্তু দুঃখ স্বভাবটা সে বদলায় নাই। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল হুসাইন ও সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম খান চুন্নু এবং খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এবং মাঠেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। তবে গত ৪ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের ৩৬টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঘোষণায় কিশোরগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। এরপর থেকেই এ আসনে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু অভিযোগ করে বলেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ঘোষিত বিএনপি প্রার্থী ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নৈতিকভাবে দুর্বল। যেনতেনভাবে মনোনয়ন পেলেও তিনি জনগণের সমর্থন আদায় করতে পারবেন না।

বিক্ষোভকারীরা দ্রুত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।