

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ক্রমশ উাঠানামা করছে। তাপমাত্রার পারদ উঠানামা কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে চরম বিপাকে পড়েন এ জেলার সাধারণ মানুষরা।
আজ সোমবার সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাশের আদ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৮৪ শতাংশ। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ে ছিলো ২৬ দশমক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা ৫ দিন ধরে এ জেলায় সারাদশেের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে এবং এখানে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
এদিকে, সরজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার নামার সাথে সাথে শীত অনুভূতির পাশাপাশি কুয়ায়ায় ঢাকা পড়তে শুরু হয়। রাত যখন গভীর হয় তখন পরে শিশির বিন্দু।
ফলে ঘন কুয়াশা, শিশির বিন্দু আর শীত পরদিন সকাল পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে দিনেট বেলা সূর্য্য দেখা মেলায় দিনের বেলা তেমন শীত অনুভূত হয় না। তবে সকাল সকাল যেসব শ্রমজীবী মানুষ কাজের সন্ধানে বের হন এবং কাজ করেন তাদের অনেক দূর্ভোগে পড়তে হয়।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরের শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার ৪টি উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
এছাড়া শীতবস্ত্রের দোকান ও শীতের পিঠাপুলির দোকানগুলো জনে উঠতে শুরু করছে৷ বিভিন্ন হাটবাজার ও ফুটপাতে দোকানপাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছ।
এছাড়া তীব্র শীতের কারনে বিভিন্ন এলাকায় কৃষিক্ষেত, গৃহপালিত পশুর উপরও বিরুপ প্রভাব পড়েছে৷
এ বিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, আমরা শীতের কারণে কাজকর্ম ঠিকমত করতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে সকালে মাঠে গিয়ে কাজ করতে।
বোদা সাকোয়া এলাকার ভ্যানচালক আইয়ুব আলী বলেন, কনকনে শীতের কারণে আমরা ঠিকমতো বাইরে বের হতে পারি না সকালে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত আমাদের অনেক কষ্ট হয় কারণ এই সময় সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, সকাল ৯টায় এখানে তাপমাত্রা এখানে রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে এখানে তাপমাত্রা পারত উঠানামা করে। তাপমাত্রা পারদ আর রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগাম সপ্তাহে।
জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্রের জন্য সরকারি ভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে৷ সেই অর্থ দিয়ে জেলার ৫ উপজেলায় শীতবস্ত্র ক্রয় করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বিতরনের জন্য।
এছাড়া শীতার্ত মানুষরা যেন কষ্টে না পড়েন তার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
