

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির কারণে জেলার ভেতরে ও দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ অবরোধের ডাক দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন প্রায় দুই হাজার পর্যটক। খাগড়াছড়ি শহরেও আটকে আছেন অনেক যাত্রী।
খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আরিফ জানান, শুক্রবার অন্তত ২০০টির বেশি গাড়ি সাজেকে গেছে, যাতে দুই হাজারেরও বেশি পর্যটক ছিলেন। শনিবারও সাজেকগামী গাড়ি প্রস্তুত থাকলেও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সেগুলো ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি শহরের বলপাইয়ে আদাম এলাকায় ছয়-সাতটি গাড়ি আটকে রেখেছেন অবরোধকারীরা। যাত্রীরা হেঁটে শহরে প্রবেশ করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা অনেক নৈশ কোচও জেলার বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে আছে। খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও পানছড়ি, দীঘিনালা ও মহালছড়ি সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।
নোয়াখালী থেকে আসা পর্যটক মো. ফারুক বলেন, “বন্ধুদের নিয়ে সাজেক যেতে এসে এখানে আটকা পড়েছি। কখন যাওয়া যাবে কিছুই বুঝতে পারছি না।”
গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা মো. সোলাইমান বলেন, “ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পথে আছি। সাজেকের গাড়ি না ছাড়লে হোটেলে উঠব কি না সেই চিন্তায় আছি।”
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ব্যারিকেড সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে আটক করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
