

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পৌষের মাঝামাঝিতে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে যশোর। টানা তিন-চার দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারদিক, সূর্যের দেখা মিলছে না দিনের পর দিন।
সোমবার সকাল থেকেও আলো দেখা যায়নি। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ঠান্ডার সঙ্গে কনকনে বাতাস সাধারণ মানুষের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
যশোর বিমানবন্দর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও গত শুক্রবার ও শনিবার যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯ ও ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের প্রকোপ কমেনি। বরং আকাশে মেঘ ও কুয়াশার কারণে শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মীরা। মঙ্গলবারও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জীবিকার তাগিদে কাজে বের হওয়া হয়ে উঠেছে চরম কষ্টকর। শহরের রেলস্টেশন, দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল সবখানেই দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। খড়কুটো, কাঠ জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন দিনমজুর, ভ্যানচালক ও ছিন্নমূল মানুষ।
স্কুল বন্ধ থাকলেও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা।
আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। চিকিৎসকরা এই ঠান্ডায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে শহরের পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে। সাধ্যের মধ্যে উষ্ণতার খোঁজে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এসব দোকানে।
এদিকে জেলা প্রশাসন জানায়, যশোরের আটটি উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন, আরও ১৫ হাজার কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
