

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যশোর শহরের ঝুমঝুমপুর দুই নম্বর কলোনিপাড়ায় দশ বছর বয়সী এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তামিম নামে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু মারধরের কারণে নাকি খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার ফল,এ নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার পর স্থানীয়রা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
নিহত তামিম ঝুমঝুমপুর কলোনিপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সে ইছালী রশিদীয়া হাফিজিয়া মাদরাসার নজরানা বিভাগে পড়াশোনা করত।
পরিবারের অভিযোগ , গত ১১ ডিসেম্বর বিকেলে খেলা করতে গিয়ে তামিম পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পায়। বিষয়টি কাউকে না জানানোয় ১৩ ডিসেম্বর মাদরাসার শিক্ষক নুরুল আমিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মারধর করেন। এতে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে পরিবার শুনেছে।
ইসমাইল হোসেন জানান, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে তামিমের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, দুই বছর আগে তামিমের হার্নিয়ার অপারেশন হয়েছিল।
তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের একটি অংশ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মাদরাসার সুপার মাজাহারুল ইসলাম শিমুল প্রথমে সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেও পরে দাবি করেন, তামিম খেলা করতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছিল। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অসুস্থ হওয়ায় তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সে মারা যায়।
ইছালী গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, ছেলেটি খেলতে গিয়ে পড়ে অসুস্থ হয়। পরে শিক্ষক তাকে বকাবকি করেন মাত্র, মারধর করা হয়নি।
এদিকে, তামিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপক্ষ দাবি করছে শিক্ষকের পিটুনিতে তামিমের মৃত্যু হয়েছে, অন্যপক্ষ এই অভিযোগ নাকচ করছে।
সোমবার বিকেলে তামিমের বাবা-মা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান, তাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”
মন্তব্য করুন
