

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যশোরে প্রেমিকের প্রতারণা সইতে না পেরে নাদিরা আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে- এমন প্রচারের পর নতুন মোড় নিয়েছে ঘটনা।
মৃতের পরিবার দাবি করেছে, এটি আত্মহত্যা নয়; প্রেমিক ও তার পরিবারের নির্যাতনে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ইছালি রামকৃষ্ণপুর গ্রামে।
জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে কোতোয়ালি পুলিশ গভীর রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাদিরা আক্তার ইছালি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং প্রবাসী মকতুল মোল্লার মেয়ে।
মেয়েটির চাচা লোকমান বাঙালি মোল্লা জানান, নাদিরার সঙ্গে একই গ্রামের নাজমুলের তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
নাজমুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে—এমন অভিযোগ পরিবারের।
বিষয়টি ছয় মাস আগে জানাজানি হলে নাজমুলের পরিবার সম্পর্কটি মেনে নেয়নি। এরপর নাজমুলও নাদিরাকে প্রত্যাখ্যান করে।
লোকমান বাঙালি দাবি করেন, সোমবার রাতে বিয়ের দাবি নিয়ে নাজমুলের বাড়িতে গেলে ছেলের ভাই হাসান, হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা নাদিরাকে মারধর করে হত্যা করেন।
পরে গামছা ও ওড়না ব্যবহার করে আমগাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো হয়। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে তারা ৯৯৯–এ ফোন দেন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “জরুরি সেবা কল সেন্টার থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রেমঘটিত ঘটনার জেরেই তার মৃত্যু। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা- তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে স্পষ্ট হবে।”
মন্তব্য করুন
