

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামালপুরের মাদারগঞ্জের সৌদি আরব ফেরত যুবক মন্টু মিয়াকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট করে অজ্ঞান পার্টি। এই ঘটনার পরে ৬০ ঘণ্টা অচেতন থাকার পর রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে তার জ্ঞান ফিরে আসে।
মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীরপাকেরদহ এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মন্টু মিয়া প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে ফিরেই এই দুর্বৃত্তদের কবলে পড়েন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মির্জাপুর এলাকার দালাল ঘটু মিয়ার ছেলে মিন্টুর মাধ্যমে সৌদি আরবে যান মন্টু। কোম্পানিতে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় চুক্তি করা হলেও কাজ না পেয়ে তাকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঋণ করে দেওয়া সাড়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে সৌদিতে পৌঁছে দালাল মিন্টু আরও ১ লাখ টাকা নিয়ে নেয়।
কাজ না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটান মন্টু। আকামা না থাকায় অবৈধভাবে কাজ করতে গিয়ে ১৬ দিন সৌদি আরবের জেলে থাকতে হয় তাকে। পরে সৌদি সরকার তাকে দেশে ফেরত পাঠায়।
গত শুক্রবার সকাল ৭টায় ঢাকায় পৌঁছানোর পর সিএনজিতে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নেশাযুক্ত দ্রব্য খাইয়ে তাকে অচেতন করে দুইটি মোবাইল, ৭০০ রিয়াল, পাসপোর্টসহ সব মালামাল ছিনিয়ে নেয়। অচেতন অবস্থায় তাকে ল্যাব ওয়ান হাসপাতালের সামনে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
৬০ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে মন্টু সংবাদমাধ্যমকে জানান, “বিদেশে দালালের প্রতারণায় নিঃস্ব হয়েছি, দেশে এসেও অজ্ঞান পার্টির হাতে সব হারালাম। জায়গা-জমি কিছুই নেই, ঋণের বোঝা মাথায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখন আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় আছি। সরকারি সহায়তা ও বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই।”
মন্তব্য করুন