

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতকারী।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের মুন্সী নাংলা এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় গ্রামবাসীর তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ ও পুলিশের দ্রুত অভিযানে পাঁচজন দুষ্কৃতকারীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জান্নাতুল হুমায়রা ও সামিউল ইসলাম জাম্বুর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রধারী একটি সংঘবদ্ধ চক্র কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে রড, হকিস্টিক, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কারখানার প্রধান ফটকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় গ্রামবাসী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তিনজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনসহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মুন্সী নাংলার জান্নাতুল হুমায়রা (২৩), বাসুদেবপুর গ্রামের মোহাম্মদ সানি (২৪), বয়রাডাঙ্গার লিখন আহমেদ (২২), মোশারফ মিয়া (২৮) এবং বরগুনার মরখালীর মো. মাসুম (২৮)।
গ্রিন বায়োটেকনোলজি কারখানার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেয়ে তারা এর আগেও একাধিকবার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের চেষ্টা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “আজ ভোরের হামলাটি ছিল পরিকল্পিত। প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়, পরে অস্ত্রসহ ফটকে হামলা চালানো হয়। আমরা থানায় মামলা করেছি, আশা করি দ্রুত অন্যান্য অভিযুক্তরাও ধরা পড়বে।”
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম 'এনপিবি'কে বলেন, “সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কারখানায় হামলার চেষ্টা করে। খবর পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং বাকি দুষ্কৃতকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
মন্তব্য করুন