মেসের টাকা পরিশোধের শর্তে প্রক্সিতে রাজি, ধরা পড়লেন শিক্ষার্থী

খাদ্য বিভাগের ‘সহকারী খাদ্য পরিদর্শক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন শিরিন আক্তার নামের এক চাকরিপ্রার্থী।

শনিবার দিনাজপুর সদর উপজেলার পরাজপুর ফাসিলাডাঙ্গা হাইস্কুল কেন্দ্রে তাকে ডিভাইসহ আটক করা হয়। শিরিন আক্তারের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়।

এদিকে একই পরীক্ষায় দিনাজপুর কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্র (টিটিসি) থেকে প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েছেন আরেক শিক্ষার্থী। প্রক্সির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীর নাম মিফতাহুল জান্নাত। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, কক্ষ পরিদর্শক উত্তরপত্রে স্বাক্ষর মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এসএম হাবিবুল হাসান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জানে আলম।

মিফতাহুল জানান, মেসের বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য তিনি রংপুর থেকে ‘প্রক্সি’ দিতে এসেছেন।

রংপুর শহরের নজরুল চত্বরে তিনি মেসে থাকেন এবং বাসা ভাড়া ও খাবারের বাবদ আট হাজার টাকা বকেয়া ছিল, যা দুই মাস ধরে পরিশোধ করতে পারেননি। দুই দিন আগে মেস মালিক শরীফ বাবু তাকে প্রস্তাব দেন, খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যের হয়ে অংশ নিলে মেসের বকেয়া টাকা মাফ করা হবে।

এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে মিফতাহুল শনিবার পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন। তবে তার পরিকল্পনা সফল হয়নি; কক্ষ পরিদর্শকের কাছে ধরা পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সব কথা স্বীকার করেন।

মিফতাহুল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ছোটরসুলপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি দিনাজপুরের ওমর ফারুক নামের একজনের হয়ে (প্রক্সি) পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, “কিছুদিন আগে ডিভাইস ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঘটনায় একটি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছিল। এ ধরনের বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

ধারাবাহিকতায় আরও একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আজকের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র সচিবকে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”