

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে মৌসুমের প্রথম যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রথম দিন তিন জাহাজে প্রায় ১২শ’ পর্যটক ভ্রমণ করছেন।
ভোর থেকেই ঘাটে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। যাত্রার আগে পর্যটকদের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব পানির বোতল তুলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি ও টিকিট যাচাই শেষে পর্যটকদের জাহাজে ওঠানো হয়।
প্রতিদিন অনুমোদিত জাহাজে সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন। টিকিট কেবল বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগ্রহ করতে হবে, যেখানে কিউআর কোড বাধ্যতামূলক থাকবে।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, ছয়টি জাহাজের অনুমতি থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় প্রথম দিনে তিনটি জাহাজ ছেড়েছে। জোয়ার-ভাটা ও নাব্যতা অনুযায়ী প্রতিদিনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুট বন্ধ থাকায় এখন কক্সবাজার থেকেই দীর্ঘ সমুদ্রপথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। তবে পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্রপথে ও দ্বীপে বিশেষ নজরদারি করছে।
সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার জারি করা ১২টি নির্দেশনার মধ্যে রাতে আলো জ্বালানো, উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান, বারবিকিউ, প্রবাল সংগ্রহ ও মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।গত নভেম্বর মাসে রাত্রিযাপন নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিন না গেলেও ডিসেম্বরের প্রথম দিনে আবারও জমে উঠেছে পর্যটকদের ভ্রমণ উচ্ছ্বাস।
মন্তব্য করুন
