

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াপাড়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ফারুক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে ফারুক প্রকাশ্যে মাদক সেবন করলে আনোয়ার তাঁকে বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফারুক তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ফারুকের বাবা মফিজুরও এতে যোগ দেন। আনোয়ারের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বাবা-ছেলে পালিয়ে যান।
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আনোয়ারের মৃত্যুর পর গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল হত্যার ঘটনায় মামলা না করার জন্য তাঁর পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল এবং আপস-মীমাংসার চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের ভাগনে রিয়াদ বলেন, “আমার মামা একজন পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। ফারুক ও তার বাবা মফিজুর মামাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, কারণ তিনি তাদের মাদক সেবনে বাধা দিয়েছিলেন।”
মন্তব্য করুন