

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লা–৯ (লাকসাম–মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত কর্নেল (অব.) এম আনোয়ার–উল আজিমের মেয়ে সামিরা আজিম দোলার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, আবদুল হালিম, নুরু, শামছুল হক, যুবদল নেতা আবুল কাশেম, ফয়সল, জাহিদুল ইসলাম, সাগর, পারভেজ, আলাউদ্দিন, মন্টু ও মোরশেদ আলমসহ অন্তত ৩৫ জন রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে সবার পরিচয় জানা যায়নি।
সামিরা আজিম দোলার অনুসারীদের অভিযোগ, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. আবুল কালামের অনুসারীরা এ হামলা চালান।
জসিম উদ্দিন ও জাহিদুল ইসলাম নামের সামিরা আজিম দোলার দুই অনুসারী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩ নভেম্বর সারাদেশে ২৩৭ আসনের মনোনয়ন ঘোষণা করেন। ওই তালিকায় কুমিল্লা–৯ আসনে আবুল কালামের নাম থাকলেও সামিরা আজিম দোলার নাম ছিল না। এরপরও দোলা চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মাঠে সক্রিয় থেকে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রবিবার সকালে কান্দিরপাড় ইউনিয়নে কয়েকটি উঠান বৈঠক কর্মসূচি হাতে নেন দোলা।
বেলা ১১টার দিকে কেমতলি গ্রামে উঠান বৈঠক শেষে গাড়িবহর নিয়ে ছনগাঁও যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের অনুসারীরা গাড়িবহর আটকে ভাঙচুর ও হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে সামিরা আজিমসহ তার অনুসারীরা আহত হন।
এ বিষয়ে সামিরা আজিম দোলা বলেন, আমার বাবা কর্নেল আজিম লাকসাম–মনোহরগঞ্জের মানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন। বাবার জনপ্রিয়তা আর নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় আমি দলের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ আবুল কালামের নির্দেশে মোশারফ হোসেন মুশুর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমাকে ও হাজি জসিম উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. আবুল কালাম। তিনি বলেন, সামিরা আজিম দোলার নেতাকর্মীরা গরু জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা থামাতে গেলে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমার চারজন কর্মী আহত হয়েছে। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত।
এ বিষেয় লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
মন্তব্য করুন