

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার কালিরবাজার এলাকায় সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যার পর শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত। এতে থমকে যায় উভয় লেনের যানচলাচল।
আটকে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বাজারের ১০–১২টি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। আহত হন অন্তত ৮–১০ জন।
স্থানীয়রা জানান, এর আগের দিন রবিবার রাতে কালিরবাজার হোসাইনিয়া মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে পাঁচরা ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের কয়েকজন কিশোরের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পর দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলায় উভয় পক্ষের ৮–১০ ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং বাজারে হামলা–ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় মহাসড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। ৫–৬টি গাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার কালিরবাজারের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, রবিবারের ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা ছিল। সোমবার হামলাকারীরা আমার দোকান ভাঙচুর করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান বলেন, মাগরিবের আগে আমার দোকানসহ আশপাশের কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পুরো এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন
