মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীর ১৫২ টি সরকারী প্রাথমিকের শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতিতে

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
১৫২ টি সরকারী প্রাথমিকের শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতিতে
expand
১৫২ টি সরকারী প্রাথমিকের শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতিতে

আমতলী উপজেলার ১৫২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতি পালন করছেন। বৃহস্পতিবার তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন। পরীক্ষার আগ মুহুর্তে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় বিপাকে পরছে ২৪ হাজার শিশু শিক্ষার্থীরা। পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় এসে ফিরে যাচ্ছে।

জানাগেছে, দশম গ্রেডসহ তিনদফা দাবীতে গত ৮ নবেম্বর থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসুচী পালন করছেন। গত ১০ নবেম্বর শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডের কাজ চলছে বলে মন্ত্রনালয়ের অনুরোধে কর্মসুচি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহাকরী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডে উন্নীত করতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষকরা ফের কর্মসুচী ঘোষনা দেন। কেন্দ্রিয় নেতাদের ডাকা কর্মবিরতি বৃহস্পতিবার আমতলীতে পালন করা হয়েছে। শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় কোন বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়নি।

পরীক্ষার আগ মুহুর্তে কর্মবিরতি পালন করায় উপজেলার ১৫২ টি বিদ্যালয়ের ২৪ হাজার শিক্ষার্থী বিপাকে পরেছে। তারা বিদ্যালয় এসে ফিরে যাচ্ছে। আবার কেউ বিদ্যালয়ে দুষ্টমি করছে। এই মুহুর্তে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিতায় পরেছেন অভিভাবকরা।

পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীম আক্তার, আনাফ ইসলাম রাফি ও জুনাইদা বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাই আমরা বাড়ী যাচ্ছি।

অভিভাবক লাভলী ও মাজেদা বেগম বলেন, আগামী মাসের প্রথম দিকে বার্ষিক পরীক্ষা। এই মুহুর্তে পাঠদান বন্ধ থাকলে সন্তানদের বেশ ক্ষতি হবে। দ্রæত সরকারকে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবী মেনে নেয়া দাবী জানান তারা।

পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জুলেখা আফরোজ বলেন, চাকুরীর বয়স ১০ বছর। এখনও সহকারী শিক্ষক পদে ১৩ তম গ্রেডে কর্মরত আছি। উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবী সরকারকে মেনে নেয়ার দাবী জানান তিনি।

আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি একেএম জিল্লুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডে উন্নীত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করায় কর্মসুচি দেয়া হয়েছে। সরকার দাবী মেনে প্রজ্ঞাপন দিলেই শিক্ষকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শ্রেনী কার্যক্রমে ফিরে যাবেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X