বৃহস্পতিবার
২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই ভাই মিলে বিক্রি করলেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
কেটে ফেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ
expand
কেটে ফেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ মো. জসিম উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম নামের দুই ভাই বিক্রি করেছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এতে বাধা দিলেও তারা তা আমলে নেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জসিম উদ্দিন কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া গ্রামে ১৯৬৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধের রিভার ও কান্টি সাইটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ২০০ ফুট জমি রয়েছে। এ জমিতে ২০০০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেহগনি, চাম্বল, শিসুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে। এর মধ্যে ৫০টির বেশি গাছ কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া এসব গাছ কিনে গত তিন দিন ধরে কেটে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দুই ভাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছই বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করেছেন।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাটা গাছ স্তুপ আকারে রাখা রয়েছে এবং বেল্লাল মিয়া সেগুলো নিয়ে যাচ্ছেন।

ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন, “জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। তাই আমি গাছ কাটছি। এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কি না, তা আমার জানা নেই।”

কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমার রেকর্ডীয় জমিতে রোপিত গাছ বিক্রি করেছি। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো গাছ নেই।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ-সহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির গাছ জসিম ও তার ভাই বিক্রি করে দিয়েছেন। বেল্লাল নামের একজন সেই গাছ কেটে নিচ্ছেন। বাধা দিলেও তিনি মানেননি।”

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।”

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, “বাঁধের গাছ কাটার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে যারা গাছ কেটেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন