বৃহস্পতিবার
২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলীয় পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা মোস্তাক

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক
expand
মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর বরগুনার তালতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিয়া. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে নিজ এলাকায় ফিরেছেন।

এ সময় হাজারও নেতাকর্মী ও সমর্থক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন ।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার শাখারিয়া এলাকার হাইওয়ে সড়কে পৌঁছালে তাকে নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এর আগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বহিস্কারদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দিয়েছে দল। মুহূর্তের মধ্যে খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন দলীয় নেতাকর্মীরা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, মিয়া. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২০২৪ সালের ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।

কিন্তু দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ৫ আগষ্ট পূর্ববর্তী কালীন সময়ে ১ দফাসহ দলীয় নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয় তার নেতৃত্বে। দলীয় যেকোন কর্মসূচিতে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে স্বরব উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মুহূর্তেই খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নেতাকর্মীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। এই আনন্দ-উল্লাস শুধু একজন নেতার পদ ফিরে পাওয়ার নয়, এ হলো তাঁদের আস্থার জয়, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাঁদের নেতা ফিরে এসেছেন। প্রত্যাবর্তনের এই আলো শুধু ব্যক্তি মোস্তাকের জীবনে নয়, তা নতুন উদ্দীপনা এনে দিল গোটা দলের কর্মী- সমর্থকদের মনে।

তিনি এলাকায় ফিরে যখন মঞ্চে উঠলেন তখন নিস্তব্ধ শহর কুয়াশায় আচ্ছন্ন। তবুও চারপাশের নেতাকর্মীরা তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছেন, স্লোগান দিচ্ছেন। যখন তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন তাঁর কন্ঠস্বর ছিলো আবেগে আপ্লূত। এত মানুষের নিঃশর্ত ভালোবাসা তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। তাঁর কণ্ঠস্বর শুনে হাজারো নেতাকর্মী ও জনসাধারণ এসে সভাস্থলে হাজির হয়। তখন তাদের চোখে মুখে ছিলো বিজয়ের আনন্দের ছাপ। তাঁর এ ফিরে আসা যেন শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, অবহেলিত ও মজলুম জনসাধারণের এক অভূতপূর্ব জয়।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বিএনপি আমার রাজনৈতিক পরিচয়, আমার আদর্শ ও বিশ্বাসের জায়গা। এই পরিবারের অংশ হয়ে আবার কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় দলের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করেছি এবং ভবিষ্যতেও সংগঠনের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব।

তালতলীর তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার পাশে থেকেছেন, তা আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলেছে। এসময় তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।'

তিনি আরও বলেন, 'বিগত ১৬ বছর ধরে নানা নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি জনগণের পাশে থেকেছে এবং জনকল্যাণে কাজ করেছে। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এসময় তিনি জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা ও সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহীনসহ জেলা নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।'

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন