সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে ঠিকাদারকে পেটানোর ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ঠিকাদারকে পেটানোর ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ
expand
ঠিকাদারকে পেটানোর ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদার বশির আলমকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবুল বাশার মোকলেছসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) বশির আলম নিজে বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মোকলেছ ছাড়াও সাইফুল, হাসান রাড়ি, মাসুম হাওলাদার, হাফিজুর রাড়ী, সেজান জাকির এবং আরও ১০–১৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বশির আলম উল্লেখ করেন, গত কয়েক মাস ধরে অভিযুক্তরা তার কাছে নিয়মিতভাবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিল। টাকা না দিলে ‘চিরতরে শেষ করে দেওয়া হবে’—এমন হুমকিও দেওয়া হতো। ১২ নভেম্বর রাতের দিকে সুবিদখালী বাজারের নান্নু মার্কেটের সামনে তাকে ঘিরে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। মাথা, মুখ ও শরীরে মারধর করে হামলাকারীরা তাকে ফেলে রেখে যায়।

ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়—সাইফুল প্রথমে একটি চেয়ার দিয়ে বশির আলমকে আঘাত করেন। এরপর আরও কয়েকজন হামলায় যোগ দেন। কিল-ঘুষি ও লাথিতে মারাত্মক আহত হন বশির। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত সাইফুল পূর্বে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। তাই হামলার পেছনে দাগি অপরাধী চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি বাদীর।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মোকলেছ বলেন, “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই।”

চিকিৎসাধীন বশির আলম অভিযোগ করেন, হামলার আগেও একাধিকবার থানায় হুমকির বিষয়টি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি ন্যায়বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান।

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এজাহার গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন