

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে রাঁধুনীর কাজ করেন হেলেনা বেগম। জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি তিনি হতদরিদ্র ও ভূমিহীন তালিকায় স্থান পেয়ে ২০১৬ সালে সরকারের কাছ থেকে ৫ শতাংশ জমির বন্দোবস্ত পান। কিন্তু ৯ বছর পার হলেও আজও সেই জমির দখল পাননি তিনি।
হেলেনা বেগমের বাড়ি উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে। বন্দোবস্ত মামলা নং-৪০/২০১৬ অনুযায়ী মহব্বতপুর মৌজায় তাকে ৫ শতাংশ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে জমিটির সঠিক অবস্থান কোথায় এখনো তা তিনি জানেন না।
হেলেনা বেগম জানান,“আমি খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। যদি জমিটুকু খুঁজে পেতাম, নিজের একটা ঘর করতে পারতাম। সরকার জমি দিয়েছে, কিন্তু দখল পাইনি।”
শুধু হেলেনা নন, তার মা আমেনা বেগমকেও একই সময়ে একই মৌজায় ১০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও দখল পাননি।
আমেনা বেগম বলেন,“জমির দখল পেতে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করেছি। এখন বয়স হয়েছে, জানি না জীবদ্দশায় দখল পাব কিনা।
এ বিষয়ে মনতলা ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন,“উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এলেই আমরা জমিটি শনাক্ত করে দখল বুঝিয়ে দেব।”
মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাসেম বলেন,“বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকারের ভূমি বন্দোবস্ত কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা নিশ্চিত করা। কিন্তু এমন উদাহরণই দেখায় দরিদ্রদের প্রাপ্য অধিকার পেতে প্রশাসনিক বাস্তবায়ন এখনো কতটা অনিশ্চিত।
মন্তব্য করুন