

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শেরপুরে কৃষি প্রণোদনার তালিকায় নিজের পছন্দের লোকদের নাম না থাকায় নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কাইয়ুম ও তার সহযোগি ফজলুকে আসামী করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কক্ষে তার সাথে এ ঘটনা ঘটে।
রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোওলার ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।
ঘটনার সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কক্ষে প্রবেশ করে আলোচনা করেন রাহাত। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে থাপ্পড় মারেন রাহাত। পরে আবার ওই কর্মকর্তাকে হামলা করলে বাইরে থাকা লোকজন তাদের থামানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় দুইজনকে আসামী করে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। এদিকে, রাতেই কৃষি কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে নকলা শহরে মিছিল করে রাহাতের অনুসারীরা।
অপরদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এসোসিয়েশন।
ভুক্তভোগী মেহেদী জানান, দুইজন লোক (রাহাত ও ফজলু) আমার অফিসে এসে জানতে চান আমি এখনো কেন বদলি হচ্ছি না, কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। এরপর তারা বলেন, ছাত্রদলের ভাগ তাদের দিতে হবে। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য, রাজনৈতিকভাবে কারও ভাগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার ওপর হামলা করে।
এসব বিষয়ে জানতে রাহাত হাসান কাইয়ুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁঞা বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসাথে আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন