

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভোলা-১ আসনে নির্বাচনী উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, কার্যালয় ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
সোমবার বিকেলে ভোলা জেলা ছাত্রদল নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বাংলা স্কুল মোড় হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় হঠাৎ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং বিজেপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালীন নতুন বাজারে অবস্থিত বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনির অভিযোগ করেন: উচ্ছৃঙ্খল একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র চুরমার করে দেয়।বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের নির্বাচনী লিফলেট অফিস থেকে বের করে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে উল্লাস করা হয়।
অ্যাডভোকেট মনির আরও বলেন, "প্রকৃত বিএনপি কর্মীরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তারেক রহমানের অনুসারীরা কখনোই এমন কাজ করতে পারেন না। মূলত একটি গোষ্ঠী ব্যক্তিপূজায় মত্ত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে এই হামলা চালিয়েছে। বিএনপি ও বিজেপির মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে, আমরা কোনো সংঘাত চাই না।" তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের কঠোর হাতে মোকাবিলা করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার আরিফুজ্জামান জানান: সংবাদ পাওয়ার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।উত্তেজনা প্রশমনে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
