

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-৫ আসনে (বরিশাল সিটি কর্পোরেশনসহ ১০টি ইউনিয়ন) রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে এবার দেখা যাচ্ছে বহুমুখী ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।
অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক দল, বামপন্থী ও বিকল্প ধারার রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে ভোটের মাঠে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। এতে করে আসনটির ফলাফল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা।
বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি নাগরিক সেবার মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম নৈতিক রাজনীতি ও ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরছেন।
জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের কথা বলছেন।
বামপন্থী প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিচ্ছেন। এছাড়া এনসিপির নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুও বিকল্প রাজনৈতিক ধারার কথা তুলে ধরে ভোটারদের সমর্থন চাইছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকা এবং বিকল্প ধারার দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ বরিশাল-৫ আসনকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে প্রচলিত রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ভেঙে ভিন্ন ফলাফলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে বরিশাল–৫ আসন এবারের নির্বাচনে শুধু একটি সংসদীয় আসনের লড়াই নয়; বরং ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
