

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লালমনিরহাটে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা কয়েক দিন সূর্যের দেখা না থাকায় জেলার গ্রাম ও শহরাঞ্চলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও প্রান্তিক এলাকার মানুষ।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে সড়ক-মহাসড়ক, মাঠ ও বসতবাড়ি। রাতে কুয়াশা ঝরে বৃষ্টির মতো, সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
আদিতমারী উপজেলার ভাদাই গ্রামের কৃষক ভুট্টো মিয়া (৫৫) বলেন,“শীতের কারনে ঘরে থাকি বাইরা বের হওয়া যায় না। বাইরা বের হইলে বাতাসে শরীর ছ্যাংগা ধরে।”
চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরও তীব্র। তিস্তা নদীর মহিষখোচা চরের বাসিন্দা রশিদুল ইসলাম (৬৫) বলেন,“ঠান্ডায় জমির কাজ করা যাচ্ছে না। তামাক ক্ষেতে পানি দেওয়া দরকার, কিন্তু শরীর যে চলে না।
চরাঞ্চলের অনেক পরিবারে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাব রয়েছে। কোথাও আগুন জ্বালিয়ে, কোথাও একটি কম্বল ভাগাভাগি করে রাত কাটাচ্ছে পুরো পরিবার। শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
শীতের কারণে কমে গেছে কাজের সুযোগ। দিনমজুর ও রিকশাচালকদের আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আদিতমারী বাজারের রিকশাচালক রশিদুল হক বলেন,
“রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। হাত-পা টানি ধরে, ইনকাম আগের চেয়া কম।
ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। লালমনিরহাট ট্রাক স্ট্যান্ডের চালক হামিদ আলী বলেন,“রাতে গাড়ি চালানো যায় না। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চলতে হয়।
এদিকে শীতের তীব্রতায় শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত শীতবস্ত্র ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
মন্তব্য করুন
