

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


উত্তরের জেলা দিনাজপুরে দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে শীত। ডিসেম্বরের শেষভাগে হঠাৎ করে নেমে আসা কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতের দাপটে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার সূর্যাস্তের পর থেকেই দিনাজপুরের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে হিমেল বাতাস। সেই সঙ্গে আজ রবিবার ভোর থেকে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়।
এর ফলে ‘সড়ক, হাটবাজার ও খোলা স্থানে মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই ভারী শীতবস্ত্র গায়ে জড়িয়েছেন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে আজ রোববার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে অসহনীয় করে তুলছে। ভোরের প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে বের হতে পারছেন না। এতে তাদের দৈনন্দিন আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শহরের মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিব ইসলাম বলেন, ‘আজ সূর্যের মুখই দেখা যাচ্ছে না, শুধু ঠান্ডা বাতাস। এই শীতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই মুশকিল। আজ যে বাতাস বইছে, তাতে কাজে যেতে মন চায় না। খুব কষ্ট হচ্ছে।’ ইজিবাইকচালক ইমরান বলেন, ‘ঘনকুয়াশার কারণে খুব সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। গত দুই-তিনদিন ধরে ঠান্ডা বাতাস বেড়েছে। ট্রাকচালক আনিছুর বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে দিনাজপুরে তীব্র শীত গায়ে লাগছে। এরই মধ্যে কয়েকদিন ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশা শুরু হয়েছে। এতে করে আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির সামনের কয়েক হাত দূরে ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’ দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আগামী দু-তিন দিন দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত বা সামান্য ওঠানামা করতে পারে। বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। ২৩ ডিসেম্বরের পর থেকে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে পারে।’
মন্তব্য করুন
