

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’ চলাকালে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাধবপুর থানার এসআই বিজয়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের বাদশা কোম্পানির গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কাউসার আহমেদ (২৬)-কে গ্রেপ্তার করে। তিনি বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মো. জহির মিয়ার পুত্র।
অভিযোগ উঠেছে, গ্রেপ্তারের সময় বাঘাসুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মাধবপুর কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান সজল দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুব মোর্শেদ খান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে বাঘাসুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও মাধবপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব জামিল চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান সজল এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় ও সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান সজল বলেন, “আমি গ্রেপ্তারে কোনো বাধা দেইনি। আমি শুধু বলেছি—আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের ধরেন। সে (কাউসার) ডেভিল নয়।”
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুব মোর্শেদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ধৃত আসামিকে থানায় আনা হয়েছে। তবে অপারেশন ডেভিল হান্টে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের লোকজন বাধা দেয়, তাহলে আমাদের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়ে।”
মন্তব্য করুন
