শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালো ফলন পেয়েও হতাশ কৃষকরা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ এএম
ধান ক্ষেত
expand
ধান ক্ষেত

ময়মনসিংহের ভালুকায় রোপা আমন চলতি মৌসুমে আবাদি জমিতে ভালো ফলন পেয়েও পোকার আক্রমণে হতাশায় কৃষকরা। এ মৌসুমে মাঠে ধান কাটার কাজ ধুম হলেও কারেন্ট পোকার আক্রমণে আশানুরূপ ধান ঘরে তুলতে পারছেন না অনেক কৃষকরা। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এই অঞ্চলে বেশ কিছু ছায়াযুক্ত স্থানে ধানের আবাদ রয়েছে। এসব ছায়াযুক্ত আবাদি জমিতেই কারেন্ট পোকা (বিপিএইচ) বেশি সক্রিয়, ফসলের ওপর আক্রমণ বেশি হয়। ফলে আশানুরূপ ধান উঠেছে তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না কৃষকরা। আর ডাকাতিয়া ও কাচিনা ইউনিয়নে অনেক আবাদি জমিতেই ধানের সোনালী শীষে পোকায় শুকিয়ে তারের মতো সরু হয়ে গেছে। ধান কাটার সময় দেখা যায় সোনালী শীষ সারি সারি ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই শীষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এদিকে, কৃষকরা বলছে, রোপা আমন চলতি মৌসুমে যে ধান হয়েছে তাতে অন্তত খরচ তুলতে পারছেন কৃষকরা। কিন্তু অনেকেই পুরো খরচও উঠবে না, কারণ ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট করে ফেলেছে বলে দাবি তাদের।

স্থানীয় কৃষক শামসুল হক জানান, এ মৌসুমে ২৮ কাঠা জমিতে ধান রোপণ করেছেন, যা কারেন্ট পোকার আক্রমণে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন হয়নি। তবে স্থানীয় সারের ডিলারের পরামর্শে আবাদি জমিতে পাঁচবার বিষ প্রয়োগ করে কারেন্ট পোকা আক্রমণ থেকে কিছু রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

কৃষক সোহাগ মিয়া জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে ধান অনেক ভালো হয়েছে। তবে কারেন্ট পোকার আক্রমণে আশানুরূপ ধান হয়নি। কারেন্ট পোকার আক্রমণ না হলে এ মৌসুমে কাঠা প্রতি ৫ থেকে ৬ মণ ধান পেতেন বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক।

ইব্রাহিম খলিল নামে এক প্রবীণ কৃষক জানান, ধান চাষে যে খরচ হয়েছে তা খরচই উঠবে না। কারণ কারেন্ট পোকা সব ধান নষ্ট করে ফেলছে।

এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান জানান, এ মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৯শ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ১৯ হাজার ৯শ ১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ডাকাতিয়া ও কাচিনা ইউনিয়নে বনের পাশে ছায়াযুক্ত কিছু আবাদি জমি রয়েছে। সেই ছায়াযুক্ত স্থানে বিপিএইচের আক্রমণ বেশি হয়।

তিনি আরও বলেন, মৌসুমের শুরুতেই কৃষি অফিস থেকে স্কোয়াড গঠন করা হয়েছিল। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করে এবং কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। উপজেলায় ব্রি-ধান ৫১ জাতের চাষ বেশি হয়ে থাকে। এ মৌসুমে দেখা গেছে ব্রি-ধান ৫১ তে রোগবালাই, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়েছে। যাতে কৃষকরা জাত পরিবর্তন করে ব্রি ১শ ৩ চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X