

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নরসিংদীর পলাশ উপজেলা থেকে নিখোঁজের ২৪ দিন পর শিবপুর উপজেলা থেকে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর এলাকার একটি কারখানার বর্জ্য শোধনাগার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর নাম মো. আবদুল্লাহ (১২)। সে পলাশ উপজেলার সেকান্দরদী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে এবং সেকান্দরদী মধ্যপাড়া উম্মুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অপহরণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারখানার বর্জ্য শোধনাগারে একটি শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষকে জানান নিরাপত্তাকর্মী মো. আবদুল আউয়াল। পরে খবর পেয়ে শিবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে নিখোঁজ শিশুর স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি আবদুল্লাহর বলে শনাক্ত করেন।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী শিবপুর থানার উপপরিদর্শক অজয় বালা বলেন, “বর্জ্য শোধনাগার থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে আরও কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
নিহত আবদুল্লাহর মা মোসা. পারুল বেগম জানান, “গত ২২ নভেম্বর সকালে মাদ্রাসা থেকেই আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাইনি। এ ঘটনায় পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।”
পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কোহিনুর মিয়া জানান, “ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মন্তব্য করুন
