

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে উঠছে বিকট বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে। মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া গুলি এসে বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে ঘরের ভেতরে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত এলাকায় এসব গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো সীমান্তজুড়ে ভয় ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা হোয়াইক্যং সীমান্তের পুরো এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে মর্টারশেল নিক্ষেপ ও ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বিকট শব্দে সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে ওঠে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, হোয়াইক্যং বাজারসংলগ্ন মোহাম্মদ হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে এবং বালুখালী গ্রামের সরওয়ার আলমের বাড়িতে কয়েকটি গুলি এসে পড়ে। এছাড়া উত্তর পাড়া সংলগ্ন নাফ নদীতে একটি মর্টারশেল পড়লে সেখান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
গুলিবিদ্ধ বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার বলেন, ‘শনিবার ভোর থেকেই হোয়াইক্যংয়ের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ হচ্ছিল। সেই সঙ্গে মর্টারশেল ফায়ারের বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় আমার ঘরের টিনের চালে পর পর দুটি গুলি এসে লাগে। এতে আমরা ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ এপারে ভেসে আসছিল। ফায়ার হলেই বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠছিল।’
আরেক ভুক্তভোগী সরওয়ার আলম বলেন,‘গোলাগুলি শুরু হলে আমি সন্তানদের নিয়ে দ্রুত বাড়ির ভেতরে একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিই। গুলির বিকট শব্দে আমরা সবাই ভয়ে কাঁপছিলাম। বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠছিল। এমন অবস্থায় হঠাৎ একটি গুলি টিনের ছাউনি ছিদ্র করে ঘরের ভেতরে পড়ে যায়। গুলিটি ঘরের ভেতরে ঘুরতে থাকে। পরে হাতে ধরলে গুলিটি গরম অনুভূত হয়।’
এ বিষয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) খোকন কান্তি রুদ্র জানান, শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তের দিক থেকে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি বাড়িতে গুলি এসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় চলমান এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিরাপত্তা জোরদার ও দ্রুত সরকারি উদ্যোগ কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন

