

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাদুঘরের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রাচীন সামগ্রী বা ঐতিহাসিক নিদর্শন-যেমন কলকাতার জাদুঘর। কিন্তু যদি এমন একটি জাদুঘরের খোঁজ পান, যেখানে শুধু শৌচাগারের ইতিহাস ঘিরেই প্রদর্শনী সাজানো, নিশ্চয়ই অবাক লাগবে!
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রয়েছে এমনই এক জাদুঘর। নয়াদিল্লির পালাম-ডাবরি রোডের মহাবীর এনক্লেভে অবস্থিত ‘সুলভ ইন্টারন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ টয়লেট’। ১৯৯২ সালে সমাজসেবক বিন্দেশ্বর পাঠকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘর স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা ছড়াতেই গড়ে তোলা হয়েছিল।
এই জাদুঘরে ৫০টিরও বেশি দেশের শৌচাগার সম্পর্কিত সামগ্রী রাখা হয়েছে। প্রদর্শনীগুলোকে সাজানো হয়েছে প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ এবং আধুনিক সময়ের ভিত্তিতে। দর্শনার্থীরা এখানে জানতে পারবেন কীভাবে কয়েক হাজার বছরে শৌচাগারের নকশা ও ব্যবহার বদলে গেছে।
এখানে রয়েছে মধ্যযুগের ট্রেজার চেস্ট আকৃতির কমোড, বইয়ের তাকের মতো লুকোনো টয়লেট, ভিক্টোরিয়ান যুগের আসন, এমনকি রোমান সম্রাটদের সোনা ও রুপার টয়লেট পটের প্রতিরূপও। এছাড়া ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের রাজসভায় ব্যবহৃত শৌচাগারের নিদর্শনও দেখা যায় এখানে।
এখানেই শেষ নয়-জাদুঘরে রাখা আছে নানা কমিকস, কার্টুন ও কবিতা, যেগুলো শৌচাগারকেন্দ্রিক। এগুলোও তৈরি করা হয়েছিল স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।
প্রদর্শনীতে রয়েছে এমন সামগ্রীর প্রতিরূপ, যা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা, নকশা ও চিত্র দেখে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ সেসব যুগের আসল জিনিস আজ আর টিকে নেই।
মজার বিষয় হলো, এই জাদুঘর ঘুরে দেখতে সময় লাগতে পারে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। আর প্রবেশ একেবারেই ফ্রি!
শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের আরও কিছু দেশে-যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও জার্মানিতেও-শৌচাগার নিয়ে জাদুঘর রয়েছে। তবে দিল্লির এই সংগ্রহশালা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার মধ্যে একটি।
মন্তব্য করুন

