

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুত করা একটি খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে।
পরিষদের মোট ১৩ সদস্য দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। যদিও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস প্রস্তাবটিকে সরাসরি নাকচ করেছে।
বিবিসি ও আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই ভোটাভুটিতে কোনো দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে যায়নি। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সোমালিয়াসহ ১৩টি দেশ সমর্থন দেয়। রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে।
প্রস্তাবে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা বলা হয়েছে—যা সংকট এলাকাকে নিরাপদ রাখা, মানবিক সহায়তার পথ খোলা রাখা এবং অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র নিস্ক্রিয়করণে দায়িত্ব পালন করবে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কয়েকটি দেশ এই বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহী, তবে কোন কোন দেশ সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি।
হামাস এই পরিকল্পনাকে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পরিপন্থী বলে দাবি করছে। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন মানে গাজায় বাইরের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা, যা স্থানীয় জনগণ ও হামাসসহ প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো কোনোভাবেই মানবে না। তাদের মতে, গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দেওয়া হলে সেটি আর নিরপেক্ষ থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়ায় আরও উল্লেখ আছে, হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে এবং আইএসএফ ইসরাইল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি গাজায় নতুনভাবে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যার নিয়ন্ত্রণ এতদিন হামাসের হাতে ছিল।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা নিরাপদ রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণ থেকে মুক্ত করা, সশস্ত্র অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মন্তব্য করুন
