

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর টানা বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে একদিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৯১ ফিলিস্তিনি। স্থানীয় চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার ভোরে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়ার পারিবারিক বাড়িতে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে তার ভাই, ভাবি এবং তাদের সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হন। আবু সালমিয়া বলেন, "আমি হাসপাতালে জরুরি দায়িত্বে ছিলাম, আর এদিকে আমার প্রিয়জনদের মরদেহ দেখতে হলো। এখন যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।"
হামলায় নিহতদের মধ্যে উত্তর গাজা থেকে পালাতে থাকা একটি ট্রাকের চার যাত্রীও ছিলেন। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, গত দুই সপ্তাহে গাজার অন্তত ২০টি বহুতল ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, যেগুলো নাকি হামাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকায় শরণার্থীদের জীবনযাপন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসাসংস্থা এমএসএফ জানিয়েছে, সেখানে পানি, খাবার কিংবা আশ্রয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা ছেড়ে যেতে একটি পরিবারকে গড়ে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ মানুষের পক্ষে এটি বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া ইসরাইল আশ্রয়সামগ্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
হামাস অভিযোগ করেছে, আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন ব্যবহার করছে ইসরাইল, যা তাদের মতে যুদ্ধাপরাধের শামিল। সংগঠনটির কাসেম ব্রিগেডস জিম্মিদের জীবিত ও মৃত -এমন ৪৮ জনের একটি বিদায়ী ছবি প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন বলছে, গাজায় ইসরাইলি অভিযানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে বরং ৭ অক্টোবরের হামাসের আক্রমণকেই গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন।
মন্তব্য করুন

