

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর পাকিস্তান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ইসরায়েলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বলেন, “দোহায় হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টা কাতারের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের ধারাবাহিক অবজ্ঞা এবং অঞ্চল অস্থিতিশীল করার নির্লজ্জ নীতি প্রদর্শন।”
পাকিস্তান দাবি করে, এমন সময়ে কাতারে হামলা চালানো হয়েছে যখন গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছিল। রাষ্ট্রদূত আহমেদ বলেন, ‘এটি ইচ্ছাকৃতভাবে কূটনীতি নস্যাৎ, শান্তি প্রচেষ্টা ব্যাহত এবং বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত করার কৌশল।’
ইসরায়েলি হামলার পর কাতার অভিযোগ করেছে, হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ শেষের প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে চাইছে। তবে দোহা জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতার কাজ চালিয়ে যাবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যৌথ বিবৃতিতে দোহায় বিমান হামলার নিন্দা জানালেও সরাসরি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেনি।
পাকিস্তানি প্রতিনিধি বলেন, “ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক নীতি আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিপন্থি। নিরাপত্তা পরিষদের দুর্বল প্রতিক্রিয়া ও নিষ্ক্রিয়তা তাদের উসকে দিচ্ছে।”
এর আগে দোহায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বৈঠকে ইসরায়েলি বিমান হামলার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং মুসলিম ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
পাকিস্তান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা কাতারের জনগণ ও সরকারের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে এবং প্রয়োজন হলে সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাতারের অধিকার সমর্থন করবে।
মন্তব্য করুন
