

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। খবর মেহের নিউজের।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইয়হিয়া সারে এই হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, অধিকৃত নেগেভ অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘ফিলিস্তিন ২’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
ইয়েমেন দাবি করেছে, অভিযানটি সফল হয়েছে। হামলার সময় সতর্ক সাইরেন বাজায় বহু নাগরিক নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পাশাপাশি ইয়েমেনের ড্রোন ইউনিট ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি পৃথক হামলা চালায়।
জেনারেল ইয়হিয়া সারে জানান, রামন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন হামলা এবং নেগেভ অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিতে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই হামলাগুলো গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের এবং ইয়েমেনের ভূখণ্ডে তেল আবিবের আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। সারে আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইয়েমেনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছেন, ইসরাইলের দখলকৃত এলাকায় কোনো স্থান আর নিরাপদ থাকবে না। আনসারুল্লাহর গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক আবদুল্লাহ আল-আহনুমি বলেন, সানার তাহরির স্কয়ারে ইসরাইলি বিমান হামলায় বেসামরিকদের হত্যার জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ইয়েমেনের পাল্টা হামলা ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর, বসতি এলাকা ও অন্যান্য সংবেদনশীল স্থানে আঘাত হানবে।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনি বাহিনী সমুদ্রে অবরোধ কার্যকর করেছে। এর লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের কাছে সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছানো রোধ করা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি মানবিক সংকটের দিকে আকর্ষণ করা। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের বার্তা হিসেবে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাও চালিয়েছে।
ইয়েমেনি বাহিনী জানিয়েছে, ইসরাইল গাজায় স্থল ও আকাশ হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৬৪,৬৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন

