

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের মহারাষ্ট্রে নিজের মেয়ের প্রেমিকার ওপর নির্মম আঘাত হেনেছেন এক বাবা। মেয়ের হৃদয়স্পর্শী প্রেম ‘মেনে নেওয়ার’ ভান করে শেষ পর্যন্ত ছেলেটিকেই হত্যা করেছেন তিনি—এ অভিযোগে গজানন বালাজি মামিদ্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বাবার সঙ্গে তার দুই ভাইও জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনডিটিভির তথ্যমতে, নিহত যুবকের নাম সক্ষম তাতে। তিনি আঁচল মামিদ্বারের সঙ্গে প্রেম করতেন। আঁচল অভিযোগ করেছেন—তার পরিবার সম্পর্কটি স্বীকার করছে বলে ধরে নিয়ে সক্ষমের বিশ্বাস অর্জন করে, পরে পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সক্ষমকে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনাকে আরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যায় আঁচলের একটি সিদ্ধান্ত—তিনি তার নিহত প্রেমিকের মরদেহের সঙ্গেই প্রতীকী ‘বিয়ে’ সম্পন্ন করেন। ভারতজুড়ে এই ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এদিকে ১৪ এপ্রিলের একটি পুরোনো ভিডিও আবারও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, আম্বেদকর জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বালাজি মামিদ্বার মেয়েকে এবং মেয়ের প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নাচছেন। এক পর্যায়ে তিনি মেয়েকে স্নেহ করে মাথায় হাতও রাখেন। সেই মেয়েই পরে প্রেমিকের পরিবারের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
আম্বেদকর জয়ন্তী ভারতের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পালিত হয়। নিহত সক্ষম ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের যুবক; অন্যদিকে আঁচলও সমাজের পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর মানুষ।
সূত্র জানায়, হত্যার আগে বালাজি মামিদ্বার পরিকল্পনা করে সক্ষমের আস্থা অর্জন করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে—বাবা ছাড়াও আঁচলের দুই ভাই হত্যায় অংশ নেয়। আঁচলের কিশোর ভাই গুলি ছোঁড়ার পাশাপাশি টাইলস দিয়েও সক্ষমকে আঘাত করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সক্ষম নিহত হন। পরের দিন তার শেষকৃত্যে উপস্থিত সবার সামনে আঁচল প্রেমিকের মরদেহকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন—যা আরও আলোড়ন তোলে।
আঁচল বলেন, তার বাবা শর্ত দিয়েছিলেন—সক্ষম যদি তাকে বিয়ে করতে চায়, তবে তাকে হিন্দু ধর্মে রূপান্তরিত হতে হবে। সক্ষম এই শর্তও মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল।
মন্তব্য করুন

