

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফিলিপাইনে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে ১৪০ জনের প্রাণহানির পর এবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কালমেগি। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে ঝড়টি দেশটির উপকূল অতিক্রম করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করে।
ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে গিয়া লাই প্রদেশে। তীব্র বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং অন্তত ছয়টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দুই লাখেরও বেশি সেনা সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত ভিয়েতনাম নতুন করে সবচেয়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলেছে, ঝড়টি বর্তমানে দাক লাক এবং গিয়া লাই অঞ্চলের ওপর অবস্থান করছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ পূর্বাভাস কেন্দ্র সতর্ক করেছে—সাতটি শহরের শত শত মানুষ আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে বহু স্থানে ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যাওয়া, ভবনের জানালা ভাঙা এবং গাছ উপড়ে সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝড় আঘাত হানার অল্প কিছুক্ষণ পরই দাক লাক প্রদেশের বাসিন্দারা সাহায্যের আবেদন জানায়।
ভিয়েতনামের আবহাওয়া ব্যুরো আরও জানিয়েছে, টাইফুন কালমেগির প্রভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায় ২৬ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে।
ঝড়ের প্রভাব কমাতে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় সরকার। বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মীরা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুরোধ জানায়।
মন্তব্য করুন
