

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের পর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এই বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। তবে দুর্বল চাহিদা এবং বাজারের সামগ্রিক অনিশ্চয়তার কারণে দাম বৃদ্ধির গতি সীমিত ছিল।
ব্রেন্ট ক্রুড: ব্যারেলপ্রতি ৬১ সেন্ট বা প্রায় ০.৯২% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ ডলার। ব্যারেলপ্রতি ৬১ সেন্ট বা প্রায় ০.৯৭% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩.২৪ ডলার।
ওএএনডিএর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক কেলভিন ওং বলেন, কাতারে ইসরায়েলের হামলার কারণে সরবরাহ নিয়ে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ওপেকপ্লাসভুক্ত দেশগুলোর স্থাপনাগুলো যদি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়, তাহলে স্বল্পমেয়াদে তীব্র সংকট তৈরি হতে পারে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হামাসের নেতৃত্বকে টার্গেট করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি শান্তি আলোচনার পথে বড় প্রতিবন্ধকতা।
প্রাথমিকভাবে দাম প্রায় ২% বেড়ে যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাসে সরবরাহে তাৎক্ষণিক কোনো বিঘ্ন ঘটেনি, ফলে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়েছেন চীন ও ভারতের ওপর ১০০% শুল্ক আরোপের জন্য। উদ্দেশ্য হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো।
চীন ও ভারত রাশিয়ার প্রধান ক্রেতা, এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার অর্থনীতি সচল রাখতে তারা বড় ভূমিকা রাখছে।
এলএসইজি’র বিশ্লেষকদের মতে, যদি বড় ক্রেতাদের ওপর শুল্ক বসানো হয়, তবে রুশ তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। এতে বৈশ্বিক সরবরাহ কমে গিয়ে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মন্তব্য করুন
