

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের অন্তত ১৬ জন পাইলট নিহত হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রথম দিকে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতা থাকলেও দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠা হয়েছে। চতুর্থ দিন থেকে পরিস্থিতি ইরানের অনুকূলে চলে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা কৌশলগতভাবে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
রাহিম-সাফাভির ভাষ্যে, ইসরাইল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি— না ইরানের ভেতরে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে, না সামরিক বা পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে। বরং ইরান তার কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জন করেছে।
তিনি জানান, ইরানি বাহিনী শত্রুপক্ষের কমান্ড সেন্টার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালে আঘাত হানে, যা তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। তার দাবি অনুযায়ী, অভিযানে শত্রুপক্ষ ৬০০–৬৪০টি প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, ফলে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
সাফাভি বলেন, আকাশ প্রতিরক্ষা, রাডার সিস্টেম ও কিছু বিমান ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পুনর্গঠন কার্যক্রম চলছে এবং নতুন নেতৃত্ব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আকাশ ও মহাকাশ প্রতিরক্ষায় শক্তি বাড়ানোর কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ভবিষ্যতে আবার কোনো আগ্রাসন হলে ইরান আরও শক্তিশালীভাবে জবাব দেবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরাইলের আকস্মিক হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়, যা টানা ১২ দিন স্থায়ী হয়। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকও ছিলেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে অংশ নেয় এবং ইরানের কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায়।
এর জবাবে ইরান তেল আবিবসহ কৌশলগত স্থাপনায় হামলা করে এবং কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
তথ্যসূত্র: মেহের
মন্তব্য করুন

