

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ হলেও ভারতে গিয়ে চার বছর ধরে পর্ন সিনেমা তৈরির একটি চক্র পরিচালনা করছিলেন বাংলাদেশি যুবক রাসেল সিকদার। কলকাতার নিকটবর্তী হুগলি জেলার ডানকুনি পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃগালা মল্লিকপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে চলত এসব ভিডিওর শুটিং।
অবশেষে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) পুলিশ রাসেলকে গ্রেপ্তার করে এবং তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া এক নারীকে হেফাজতে নেয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘ চার বছর ধরে ওই ফ্ল্যাটেই এ অবৈধ কার্যক্রম চলছিল। রাসেল ও তার সঙ্গে থাকা নারী সমাজে দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সেখানেই তৈরি হতো পর্ন ভিডিও, যা রাসেল বিভিন্ন পর্ন সাইটে বিক্রি করতেন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে কিছুটা অস্বাভাবিকভাবেই। সম্প্রতি রাসেল সিকদারের স্ত্রী পরিচয়ধারী নারী অত্যন্ত গোপনে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন রাসেল একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে এসেছেন। ভারতে এনে তাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রাখা হলেও, ঘরের ভেতর রাসেল নিয়মিত জোরপূর্বক পর্ন ভিডিওতে অভিনয় করতে বাধ্য করতেন। পাশাপাশি তিনি রাসেলের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও করেন।
জানা যায়, কিছুদিন আগে রাসেল সিকদার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অসুস্থ হন। রাসেলের অসুস্থতার সুযোগ নিয়েই ওই তরুণী বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান। এরপরই গত শনিবার নারীর দেওয়া নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে পুলিশ রাসেল সিকদারকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশি ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে রাসেল সিকদার ও তার স্ত্রী পরিচয়ধারী নারী আদতে বাংলাদেশি। সোমবার গ্রেপ্তার রাসেল ও উদ্ধারকৃত নারীকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক রাসেলকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং তরুণীকে আপাতত একটি সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করেন।
এদিকে, বাংলাদেশি যুবকের এই কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা প্রকাশ পাল অভিযোগ করেন, ডানকুনিতে বাংলাদেশিতে ভর্তি হয়ে গেছে এমনকি ডানকুনিতে থেকে পর্ন ভিডিও শুট হচ্ছে। এলাকার তৃণমূল নেতারা জেগে ঘুমাচ্ছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার এলাকায় কোনো বাংলাদেশি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রয়েছেন, তা তিনি জানতেন না। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেন, বাইরে থেকে এসে এলাকায় কুকর্ম করে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
