

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এক সময় নেপালের বিপক্ষে জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু এখন সে সাফল্য স্মৃতি হয়ে গেছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে জয়হীন লাল-সবুজ দল আজ ঘরের মাঠে সেই খরা কাটানোর সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ নেপালকে হারিয়েছিল ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর। কাকতালীয়ভাবে ঠিক পাঁচ বছর পর, একই তারিখে আজ (১৩ নভেম্বর) আবার মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আজ রাত ৮টায়, ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
আগামী ১৮ নভেম্বর একই মাঠে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবেই নেপালের সঙ্গে এই প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ দল নেপালে গিয়েছিল দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে। প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দ্বিতীয় ম্যাচটি বাতিল হয়।
আজকের ম্যাচটি হবে দুই দলের ২৯তম মুখোমুখি লড়াই। এর আগে ২৮ ম্যাচে ১৪ বার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল জিতেছে ৮ বার, আর ৬টি ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্র-তে। পরিসংখ্যান বলছে, ইতিহাসে বাংলাদেশ এগিয়ে, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সেই আধিপত্য নেই।
গত পাঁচ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে একটিও জয় পায়নি বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচ ড্র এবং দুটি ম্যাচে নেপাল জয় পায়। এবার সেই খরা কাটাতে দল সাজানো হয়েছে পূর্ণ শক্তিতে দলে ফিরেছেন হামজা চৌধুরী ও সামিত সোম।
গত মাসে যখন বাংলাদেশ নেপালে দুই প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল, তখন দেশটির দর্শকদের মধ্যে ছিল প্রচুর উন্মাদনা। সবাই চেয়েছিল বাংলাদেশি তারকা হামজা চৌধুরীকে মাঠে দেখতে। কিন্তু তিনি সেই সফরে অংশ নেননি, সঙ্গে ছিলেন না সামিত সোমও। তবে এবার দু’জনই মাঠে নামছেন, যা ম্যাচটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
নেপালের অধিনায়ক কিরণ লিম্বু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা নেপালে হামজাকে দেখতে চেয়েছিলাম। এবার তার বিপক্ষে খেলতে পারব, এটা আমাদের জন্যও রোমাঞ্চকর।” তিনি আরও বলেন, “নেপালের ফুটবলপ্রেমীরা এই ম্যাচের খবর অনুসরণ করছে, সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে।”
এদিকে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি শুধুই একটি প্রীতি নয় বরং ভারত ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগ। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা চান, নেপালের বিপক্ষে জয়ে দলটি ভারত ম্যাচের আগে নতুন উদ্দীপনা অর্জন করুক।
যদিও এশিয়ান কাপে খেলার আশা ইতিমধ্যেই শেষ, তারপরও বাংলাদেশ দল চায় এই ম্যাচগুলোর মাধ্যমে ভালো কিছু উপহার দিতে। শেষটা সুন্দর করতে পারলেই সেটাই হবে দলের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
মন্তব্য করুন
