

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আওয়ামী লীগ বিহীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘিরে দেশে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয়তা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা.জাহেদ উর রহমান বলেছেন, জামায়াত এখন ক্ষমতায় যাওয়ার খোয়াব দেখছে। যদিও তাদের সাংগঠনিক শক্তি সীমিত, তবু তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে এক ধরনের ভ্রান্ত আশাবাদে ভুগছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, ২০১৪-১৫ সালের পর থেকে জামায়াত প্রায় এক দশক ধরে মাঠে নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দলটির নেতারা আবারও রাজনৈতিক বক্তব্যে সরব হচ্ছেন।
বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, তারা নিজেদের “মূলধারার প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা ভুলে যাচ্ছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এখনো খুব শক্ত ভিত গড়ে তোলেনি। ফলে বিএনপি ও জামায়াত যদি পরস্পর প্রতিযোগিতায় নামে সেই সংঘাতই আওয়ামী লীগের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
জামায়াতের রাজনৈতিক প্রভাব বাস্তবে যতটা ক্ষীণ, তারা নিজেদের গুরুত্ব তার চেয়ে অনেক বেশি করে দেখতে চায়। “অনেকে মনে করেন জামায়াতের ভেতরে এখন ক্ষমতার খোয়াব দেখা শুরু হয়েছে। কিন্তু সেটা বাস্তবতার চেয়ে অনেক দূরের স্বপ্ন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জামায়াতের আমির দাবি করেছেন, তারা আওয়ামী লীগকে “ক্ষমা করে দিয়েছেন” এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে সংলাপের পথ খোলা রাখতে চান। তবে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এখন প্রকাশ্য। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিভাজনই বিরোধী রাজনীতির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।
জাহেদ উর রহমান বলেন, জামায়াতের ভেতরে এখন একটা বিভ্রম কাজ করছে—তারা ভাবছে, আওয়ামী লীগ অনুপস্থিত থাকলে বিএনপিকে পেছনে ফেলে তারাই বিকল্প শক্তি হয়ে উঠবে। কিন্তু তাদের সংগঠনের ভেতর যে রাজনৈতিক আস্থা বা গণভিত্তি নেই, সেটা তারা বুঝতে চাইছে না।
তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপি ও জামায়াত যদি একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়বে। এই সুযোগে পুনরায় রাজনৈতিক ময়দানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ।
মন্তব্য করুন
