


আমাদের এই গল্প শুরু হয় প্রায় ১৪০০ বছর আগে, আরবের মক্কা শহরে। তখন আরব ছিল নানা গোত্রের ঝগড়া-বিবাদে ভরা এক জায়গা।
সেই সময়ে জন্ম নিলেন এক অসাধারণ শিশু, যার নাম হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মুহাম্মাদ (সা.) আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। মুহাম্মাদ (সা.) জন্মের পূর্বেই তার পিতা এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা মৃত্যুবরণ করেন। এতিম মুহাম্মাদ (সা.) পরবর্তী দুই বছর তার দাদা আবদুল মুত্তালিবের কাছে লালিত পালিত হন।
দাদার মৃত্যুর পরে তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন। তিনি শৈশবে মেষপালক ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যে নিযুক্ত হন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সবার থেকে আলাদা ছিলেন। মিথ্যা কথা বলতেন না, অন্যায়কে ঘৃণা করতেন।
সবাই তাকে এতই বিশ্বাস করত যে, তাকে "আল-আমিন" বা "বিশ্বস্ত" উপাধি দিয়েছিল। সেই আল-আমিনই যে একদিন শুধু একজন নবী নন, বরং একজন বিচক্ষণ ও সফল রাষ্ট্রপ্রধান হবেন, তা হয়তো কেউ তখন কল্পনাও করেনি।
তিনি ২৫ বছর বয়সে খাদিজাকে (রাঃ) বিয়ে করেন। তার বয়স যখন চল্লিশ, তখন তিনি আল্লাহ থেকে ওহী পেলেন এবং নবী হলেন। ইসলামের বার্তা আগমনের পূর্ব থেকেই তিনি মূর্তি পূজা এবং পৌত্তলিক রীতিনীতি বর্জন করে চলতেন।
আল্লাহর কাছ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ) ওহী নিয়ে আসলে পরে তিনি মানুষকে এক আল্লাহর পথে ডাকতে শুরু করলেন। কিন্তু মক্কার নেতারা তার এই বার্তা সহজে মেনে নিতে পারল না। বরং তাকে এবং তার অনুসারীদের ওপর অনেক অত্যাচার করল।
কারণ এই নতুন বার্তা তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিচ্ছিল।
কোনোভাবেই যখন তারা তার দাওয়াত গ্রহণ করছিল না, অত্যাচার আরও বেড়ে গেল, তখন মহানবী (সা.) তার অনুসারীদের নিয়ে মদিনার দিকে রওনা দিলেন।
একেই আমরা বলি হিজরত। কিন্তু এই হিজরত শুধু এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়া ছিল না। এটা ছিল একজন ধর্মীয় নেতা থেকে একজন রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ।
এই প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজ নয়, কারণ এর পেছনে ছিল একাধিক জটিল কারণ। যিনি এতদিন তাদের কাছে 'আল-আমিন' ছিলেন, তিনিই কেন তাদের কাছে হুমকি হয়ে উঠলেন? এর পেছনে ছিল বেশ কিছু জটিল কারণ, যা আসলে তৎকালীন মক্কার সমাজের মূল ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
প্রথম কারণটি ছিল ধর্মীয় বিশ্বাস ও ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব। মক্কার লোকেরা ৩৬০টি মূর্তির পূজা করত, যা কাবাঘরের ভেতরে রাখা ছিল। এই মূর্তিপূজা শুধু তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল না, বরং তাদের ব্যবসারও বড় উৎস ছিল।
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই মূর্তিগুলো দেখতে আসত, আর তাতে মক্কার নেতাদের দারুণ লাভ হতো।
যখন মহানবী (সা.) এক আল্লাহর কথা বললেন এবং এই মূর্তিগুলোকে মিথ্যা বলে ঘোষণা দিলেন, তখন তাদের মনে হলো, যদি এই নতুন ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের সব ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে, আর তাদের সম্মানও থাকবে না।
দ্বিতীয় কারণটি ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানোর ভয়। মক্কায় তখন কুরাইশ গোত্রের কিছু প্রভাবশালী নেতা ছিল, যাদের হাতে ছিল সব ক্ষমতা। তারা বংশ পরম্পরায় এই ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইত। যখন মহানবী (সা.)-এর অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকল, তখন তাদের মনে ভয় ঢুকে গেল।
তারা বুঝল, এই মানুষটা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, তিনি এমন এক ধরনের নেতৃত্ব নিয়ে এসেছেন যা মানুষের মন জয় করে নিচ্ছে। এই নতুন নেতৃত্ব হয়তো তাদের ক্ষমতার মসনদ থেকে সরিয়ে দেবে। তাই তারা তাকে যেকোনো মূল্যে থামাতে চাইল।
তৃতীয় কারণটি ছিল সামাজিক সমতার ভয়। মক্কার সমাজে তখন ধনী-গরিবের মধ্যে অনেক বৈষম্য ছিল।
দাসদের কোনো সম্মান ছিল না। মহানবী (সা.) যখন বললেন, আল্লাহর কাছে সবাই সমান, একজন ধনী কুরাইশ নেতা আর একজন গরিব দাসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, তখন ধনীরা ঘাবড়ে গেল।
তারা তাদের দাস-দাসী ও গরিবদের ওপর যে ক্ষমতা খাটাতে পারত, সেটা হারাতে চাইল না। এই নতুন বার্তা তাদের আরামের জীবনে একটা বড় বিপদ হিসেবে দেখা দিল। ফোলে নবী মুহাম্মাদকে (স) তারা থ্রেট হিসেবে নিল।
তাহলে মক্কার কুফফাররা কেন তাঁকে বিশ্বাস করত? এই প্রশ্নের এটাই সবচেয়ে মজার দিক। তারা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করত। তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি, কারো সঙ্গে প্রতারণা করেননি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সততার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
তাই, ব্যবসার কাজে বা মূল্যবান সম্পদ সংরক্ষণের জন্য তারা নির্দ্বিধায় তাঁর কাছে সব কিছু জমা রাখত।
এই বিশ্বাস ছিল ব্যক্তিগত, কিন্তু যখন সেই বিশ্বাস তাদের ক্ষমতা, প্রভাব, ব্যবসা ও সামাজিক মর্যাদার ওপর আঘাত হানল, তখন তারা ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে ভুলে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইল।
এখান থেকেই বোঝা যায়, মক্কার নেতাদের কাছে ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান ছিল ব্যক্তিগত বিশ্বাসের চেয়েও বড়। তাই যারা যাকে বিশ্বাস করত, তারাই তাকে জন্মভূমি থেকে চলে যেতে বাধ্য করল।
তবে মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যাওয়া নিছক কোন উদ্দেশ্য ছিল না বা এই হিজরত শুধু এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়া ছিল না। এটা ছিল একজন রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ।
নবী মুহাম্মাদ (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করলেন, তখন তিনি শুধু আল্লাহর বাণী প্রচার শুরু করেননি, বরং একটি নতুন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। মদিনা শহরটা তখন নানা গোত্র আর ধর্মের মানুষের বাস ছিল। তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।
এই ঝগড়াগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়? এখানেই মহানবী (সা.) তাঁর আসল প্রজ্ঞা দেখালেন। তিনি মদিনার মুসলিম, ইহুদি এবং অন্যান্য গোত্রের সব নেতাকে নিয়ে একটি চুক্তি করলেন। এই চুক্তির নাম মদিনা সনদ।
৪৭ টি ধারার এই সনদ ছিল বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান! কেউ কেউ বলেছেন ৫৩ টি ধারা ছিল। সংবিধানে বলা হয়েছিল, মদিনায় সবাই সমান।
সবারই তাদের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে। যদি বাইরের কোনো শত্রু মদিনা আক্রমণ করে, তাহলে সবাই মিলেমিশে সেই শত্রুকে তাড়িয়ে দেবে।
তিনি এই একটা কাগজ দিয়েই ঝগড়াটে গোত্রগুলোকে একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবারে পরিণত করলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে তিনি মদিনাকে একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রে পরিণত করলেন, যেখানে সবাই মিলেমিশে থাকতে পারবে।
এর নেতৃত্বে ছিলেন নবী (সা)। ব্রিটিশ লেখিকা Karen Armstrong তার 'Muhammad: A Prophet For Our Time' বইয়ে বলেছেন যে, মদিনা সনদ ছিল আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য একটি মডেল।
একজন রাষ্ট্রপ্রধান মানেই যে শুধু আদেশ দেবেন এমনটা নয়, মহানবী (সা.) ছিলেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তিনি ছিলেন এমন একজন শাসক, যিনি তার ভালোবাসা, প্রজ্ঞা ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সবার মন জয় করেছিলেন।
তার দরবারে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। ধনী-গরিব, মুসলিম-অমুসলিম—সবার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা থাকত।
তার জ্ঞান, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য করা, সততা ও চারিত্রিক মাধুর্য ব্যাপক প্রভাব ফেলে । প্রজ্ঞার সাথে সাথে দাওয়াহর কাজ করে করে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠছিলেন একজন প্রকৃত নেতা হিসেবে।
একবার একজন ইহুদি তার কাছে বিচার চাইলেন। অবাক হয়ে সবাই দেখল, মহানবী (সা.) সেই ইহুদির পক্ষেই রায় দিলেন। তিনি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর কাছে ন্যায়বিচার সবার জন্য।
এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে চুরি করেছিল। সবাই এসে অনুরোধ করল, "হে আল্লাহর রাসূল, ওকে ছেড়ে দিন!" কিন্তু তিনি রেগে গিয়ে বললেন, "যদি আমার নিজের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করত, তাহলে আমি তারও হাত কেটে দিতাম।" [সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস ২৫৪৭]
এই কথা প্রমাণ করে যে, আইনের চোখে সবাই সমান। এই যে নিরপেক্ষ বিচার, এটাই তাঁর শাসনকে মজবুত করেছিল। দার্শনিক ও লেখক Martin Lings তার 'Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources' গ্রন্থে এমন অনেক ঘটনা তুলে ধরেছেন, যা তার ন্যায়বিচারের আদর্শ প্রমাণ করে।
একটি রাষ্ট্র টিকে থাকে তার অর্থনীতির ওপর। মহানবী (সা.) শুধু একটি নতুন ধর্ম নয়, বরং এক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও নিয়ে এসেছিলেন। মক্কায় তখন সুদ আর শোষণের রাজত্ব চলত। ধনীরা গরিবদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিত এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলত।
কিন্তু মদিনায় এসে তিনি সেই পুরোনো ব্যবস্থা ভেঙে দিলেন। তিনি একটি রাষ্ট্রীয় কোষাগার তৈরি করলেন, যার নাম 'বায়তুল মাল'। এই ভাণ্ডারে সব আয় জমা হতো এবং এখান থেকেই সবার প্রয়োজন মেটানো হতো।
তিনি এমন এক ব্যবস্থা চালু করলেন যেখানে সমাজের ধনীরা তাদের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ (যাকাত) গরিবদের দিতেন।
এর ফলে সম্পদ এক হাতে জমা না হয়ে সবার মধ্যে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ত। তিনি সুদকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। এই অর্থনৈতিক নীতি ছিল এতটাই মানবিক যে, এটি সমাজের ধনী ও গরিবের মধ্যেকার বৈষম্য কমিয়ে এনেছিল এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠনে সাহায্য করেছিল।
Tariq Ramadan তাঁর 'The Messenger: The Meanings of the Life of Muhammad' বইয়ে মহানবী (সা.)-এর অর্থনৈতিক নীতির বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে এই নীতিগুলো একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
জন্মভূমি মক্কা থেকে মুহাম্মদ (সা.)-কে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে মক্কার লোকেরা তাকে এবং তার অনুসারীদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছিল।
কিন্তু মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর মহানবী (সা.) ফিরে এলেন তার শহরে। তবে তিনি প্রতিশোধের আগুন নিয়ে আসেননি, বরং তার হৃদয়ে ছিল ভালোবাসা আর করুণা।
যখন তিনি হাজার হাজার অনুসারী নিয়ে মক্কার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছলেন, তখন মক্কাবাসী ভয়ে কাঁপছিল। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন ছিল: "আজ কি আমাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হবে?" কিন্তু মহানবী (সা.) সবাইকে অবাক করে দিলেন।
তিনি মক্কায় প্রবেশ করলেন অত্যন্ত বিনয়ের সাথে। কাবার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি মক্কার নেতাদের জিজ্ঞাসা করলেন, "আজ তোমাদের সাথে আমি কেমন আচরণ করব বলে তোমরা মনে করো?"
ভয়ে কাঁপতে থাকা নেতারা উত্তর দিল, "আপনি আমাদের ভাই, একজন দয়ালু ভাই। আমরা আপনার কাছে ভালো ব্যবহারই আশা করি।"
তখন মহানবী (সা.) এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দিলেন, যা মানব ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বললেন, "আজ তোমাদের ওপর কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। আজ তোমরা সবাই মুক্ত।"
এই একটি বাক্যেই তিনি শত বছরের শত্রুতাকে ভালোবাসায় পরিণত করলেন। তিনি শুধু তাদেরকেই ক্ষমা করেননি, যারা তার ওপর অত্যাচার করেছিল, বরং তিনি তার চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে মানুষের মন জয় করেছিলেন।
একজন প্রকৃত নেতা ও রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন যে, ক্ষমতা পেয়েও প্রতিশোধের পথ না হেঁটে ক্ষমা আর দয়ার পথ বেছে নিতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল তার বিদায় হজের ভাষণ। এই ভাষণটি কেবল একটি ধর্মীয় বক্তৃতা ছিল না, এটি ছিল সারা মানবজাতির জন্য একটি পরিপূর্ণ মানবাধিকার সনদ।
তিনি ভাষণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন যা আজও আমাদের সমাজের জন্য সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
জাতিগত সমতা: তিনি বলেন, "একজন আরবের উপর অনারবের, একজন শ্বেতাঙ্গের উপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।" এই কথা বলে তিনি সব ধরনের বৈষম্যকে বাতিল করে দেন।
নারীর মর্যাদা: নারীদের বিষয়ে পুরুষদের সতর্ক করে বলেন, "তোমাদের স্ত্রীদের বিষয়ে তোমরা আল্লাহকে ভয় করবে।" এই একটি বাক্যেই তিনি নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেন, যা সেই সময়ে ছিল এক নতুন ধারণা।
ন্যায়বিচার: তিনি জোর দিয়ে বলেন, "তোমাদের মধ্যেকার কেউ যেন অন্যের উপর কোনো ধরনের অন্যায় না করে। এই ভাষণটি প্রমাণ করে যে, তিনি শুধু একজন ধর্মগুরু ছিলেন না, বরং একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও সম্মান নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্ব কোনো কল্পকাহিনী নয়, বরং এটি একটি বাস্তব উদাহরণ যে, একজন মানুষ সততা, ন্যায়বিচার, ভালোবাসা আর প্রজ্ঞার মাধ্যমে একটি অগোছালো সমাজকে একটি সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে।
আজকের এই অস্থির সময়ে আমাদের প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি কথার চেয়ে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেবেন, আর নিজের স্বার্থের চেয়ে জনগণের কল্যাণকে বড় করে দেখবেন।
রাব্বি মিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ
মন্তব্য করুন