

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুমিন মুসলমানরা যখন কোনো দুঃসংবাদ বা বিপদের সম্মুখীন হন, তখন আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিয়ে বলেন—“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”।
এ দোয়া কেবল মুখের উচ্চারণ নয়; বরং অন্তরের গভীর বিশ্বাস যে আমরা আল্লাহর অধীন এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।
এর শিক্ষা: এই বাক্যের মাধ্যমে আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। এ দোয়া মানুষকে মনে করিয়ে দেয়, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী—চিরকাল এখানে থাকা যাবে না।
কোরআনের শিক্ষা: আল্লাহ তাআলা বলেন—আর আমি অবশ্যই পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদের ক্ষতি, প্রাণহানি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যাদের ওপর বিপদ আপদ এলে তারা বলে—‘নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই, আর আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব।’ তাদের ওপরই আছে তাদের রবের পক্ষ থেকে রহমত ও দয়া। তারাই হেদায়েতপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা: ১৫৫–১৫৭)
হাদিসের আলোকে: উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি— কোনো মুসলিম বিপদে পড়লে যদি বলে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন এবং এর পর দোয়া করে— আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি, ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমার এই মুসিবতে আমাকে সওয়াব দাও এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করো—তাহলে আল্লাহ তাকে এর বিনিময়ে উত্তম কিছু দান করেন।” (সহিহ মুসলিম: ৯১৮)
উম্মে সালামা (রা.)-এর জীবন থেকে একটি দৃষ্টান্ত: তাঁর স্বামী আবু সালামা ইন্তেকাল করলে তিনি এ দোয়া পড়েন। তখন তাঁর মনে হয়েছিল, আর কোনো উত্তম সঙ্গী পাবেন না। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি প্রমাণ করে, আল্লাহ যে প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি তার শ্রেষ্ঠ প্রতিদান দেন।
সংক্ষেপে ফজিলত
ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। বিপদে আল্লাহর প্রতি আস্থা বাড়ায়। আখিরাতের প্রতি বিশ্বাসকে মজবুত করে। আল্লাহর রহমত ও সওয়াব লাভের বড় উপায়।
মন্তব্য করুন