

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহারের মধ্যে গত ২১ অক্টোবর বিচ্ছেদ হয়। তবে বিচ্ছেদের প্রায় এক মাস পর তারা আবারও বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন সাবিকুন নাহার।
আবু ত্বহার সঙ্গে আলাদা হয়ে পরে কীভাবে আবার একসঙ্গে হলেন—এ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি লেখেন, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী; এখানে সবই সাময়িক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জীবনে কতটা প্রতারণা বা ধোঁকা পাওয়া যায় তা জানা কঠিন, আর এই দুনিয়ায় কারও বেশি দিন বেঁচে থাকারও নিশ্চয়তা নেই। পরকালের হিসেব-নিকেশ ও জান্নাতের সাফল্যই শেষ পর্যন্ত আসল—এই উপলব্ধি থেকেই তিনি আবার সম্পর্কে ফেরার সিদ্ধান্তের কথা লিখেছেন।
তার কথায়, কে কী ভাবল বা বলল, সে হিসেব নয়—বরং পরকালীন সফলতাই তার কাছে আজ বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
বাচ্চারা বাবা মাকে খোঁজে এমনটা জানিয়ে সাবিকুন নাহার লিখলেন, কি হবে আর কি নাহবে এসবেরও বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই। প্রতিনিয়ত আয়িশা তার বাবাকে খোঁজে! বাবা যাবো! বাবা গাড়ি! বাবা কই? শব্দগুলোর ওজন উঠানোর কোনো পরিমাপক মহাবিশ্বে নেই।
উসমানও মাকে পাচ্ছেনা। উসমানের সামনে অন্যরা তাদের মায়ের নিকট আম্মু বলে ছুটে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্লিপ্ত চাহনিতে উসমানের প্রশ্ন তার আম্মুর কাছে কখন নিয়ে যাবে! বিচ্ছেদ ও পূর্বের ঘটনা প্রসঙ্গে সাবিকুন নাহার বলেন, যা ঘটে গেছে তার অনিবার্য পরিণতি যে এটাই তা হয়তো আমরা জানতাম, তবে জানা আর প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করা যে কখনোই এক নয়! ইলমুল ইয়াক্বিন আর হাক্কুল ইয়াক্বিনে আছে আকাশসম ফারাক। জানা বিষয়টি উপলব্ধি করেছি আমরা।
বেশাক আমাদের ভুল ছিলো। কিছু ভুল বুঝেছি, বুঝানোও হয়েছে! উসমানের বাবার প্রতি প্রগাঢ় মুহাব্বাত থেকেই অস্থির হয়েছি, কিছু রাগ, জেদ ও সীমালঙ্ঘনও হয়ে গেছে! সাথে মানুষ ও জ্বীন শয়তান, বিচ্ছেদের যাদু কি না ছিল? সাবিকুন নাহার বলেন, হয়তো এভাবেই আমাদের ভাগ্য লিখা হয়েছিলো। তাকদিরের কাছে তো অনেক বড়রাও অসহায় ছিলেন, যেমন গ্রহণের সময় নিরুপায় থাকে চাঁদের আলো। তাই বলে কি চাঁদ কস্মিনকালেও কলংকিত? সে যে আজন্ম আমার চাঁদ-ই ছিলো! দুরাচার শয়তান সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বারংবার! শুভ্র, সচ্ছ, সুন্দরে, চিন্তায় ইবলিসকে তাই ঠাঁই দেইনি আর। ফা লিল্লাহিল হামদ! অতঃপর... আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন।
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন। উসমান ও আয়িশা তাদের বাবা মাকে ফিরে পেয়েছে! আল্লাহুম্মা লাকাল হামদ।
মন্তব্য করুন

