

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির নাম করে দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের ওপর কলকাতাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
পূর্ববর্তী সরকারগুলোও সেই সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রবণতায় ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, এখন দেশের মানুষ নিজেদের স্বকীয়তা ও সক্ষমতা সম্পর্কে আরও সচেতন।
তিনি বলেন, “আমরা কোন দেশের সঙ্গে বা কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখব, তা নিজেরাই বিবেচনা করব।”
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার নির্দেশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ছাত্রশিবির কখনো নির্ভরশীল বা অনুসারী রাজনীতি করে না। ইসলাম ও দেশের স্বার্থে কাজ করলে যে কেউ তাদের সহযোগিতা পেতে পারে, তবে লেজুড়বৃত্তি তারা মেনে নেয় না।
বর্তমান তরুণ সমাজ অন্ধ আনুগত্য বা ‘ভাইপলিটিক্স’-এর রাজনীতি মানে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “৫ আগস্টের পর জোর করে কাউকে মিছিলে নেওয়ার দিন শেষ।”
নারীদের বিষয়ে শিবিরবিরোধী অপপ্রচারের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তার দাবি, কিছু মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুল ধারণা ছড়ালেও ইসলামের অমুসলিম–বান্ধব ও সহনশীল নীতিকে শিবির ধারণ করে।
শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার–সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছাত্রশিবির ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি খাতে দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহা। প্রধান অতিথির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান ও অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক শরীফ মাহমুদও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ ছাড়া শাখার সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
